mustard oil

🌿✨ সরিষার তেল
ঐতিহ্যগতভাবে  আমাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবহার করা সরিষার তেল প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি গাঢ় হলুদ বর্ণের এবং বাদামের মত সামান্য কটু স্বাদ ও শক্তিশালী সুবাস যুক্ত তেল।ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। শরীর এবং ত্বকের উপকারে নানাভাবে কাজে লাগে সুবাসিত এই তেলটি।
💪 সরিষার তেলের উপকারিতা 
🧠 স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক সুস্থতা: সরিষার তেলের স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি মনোযোগ বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।
🫀হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।
🌞ত্বকের যত্নে: সরিষার তেল সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর, অ্যালার্জি ও র‍্যাশ প্রতিরোধ করে। ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সরিষার তেল কার্যকরী।
🚫 ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে: সরিষার তেলে বিদ্যমান লাইনোলেনিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে ক্যানসার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। বিশেষত স্টোমাক এবং কোলন ক্যানসারকে দূরে রাখতে এই তেলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
🦴হাড়ের ব্যথা মুক্তি: সরিষার তেলে এমন উপাদান থাকে যা প্রদাহজনিত উৎসেচকের ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
💆চুলের বৃদ্ধিতে: সরিষার তেল ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।